২০১৯ সালে জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে পিএসজিতে আসেন পারেদেস। গ্রীষ্মের দলবদলে পিএসজি থেকে ধারে খেলতে গেছেন জুভেন্টাসে। তবে পিএসজিতে থাকার সময় এমবাপ্পের সঙ্গে নাকি তাঁর কোনো যোগাযোগই ছিল না।
সম্প্রতি ইএসপিএন আর্জেন্টিনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পারেদেসকে। উত্তরে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি তাকে নিয়ে কথা বলার মতো কেউ না। তাদের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ ছিল, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তবে যার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কই ছিল না, তাকে (এমবাপ্পে) নিয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।’
এ মৌসুমে ধারে জুভেন্টাসের হয়ে খেলছেন পারেদেস। জুভেন্টাসের তাঁকে কিনে নেওয়ার সুযোগও আছে। তবে বিশ্বকাপের আগে দলবদলের এই সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার, ‘বিশ্বকাপের আগে ক্লাব বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন ছিল। তবে আমার মনে হয়, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাতারে সেরা প্রস্তুতি নিয়ে যেতে আমার বেশি সময় মাঠে থাকা জরুরি ছিল। তাই এটা ঠিক হয়েছে।’
কদিন আগে নেইমারও তাঁর সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। ঘানার বিপক্ষে ম্যাচের পর মিক্সড জোনে এক সাংবাদিক এমবাপ্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে ব্রাজিল তারকা বলেন, ‘আমি কিছু বলব না।’ কয়েক শব্দের এই উত্তর দিয়েই হেঁটে চলে যান নেইমার।
এ দুজনের সম্পর্ক ভালো না থাকার প্রভাব অবশ্য নেইমার–এমবাপ্পের পারফরম্যান্সে দেখা যাচ্ছে না। পিএসজিতে দুজনই আলো ছড়াচ্ছেন। লিগ ওয়ানে ৮ ম্যাচ ৮ গোল করা নেইমার অ্যাসিস্টও করেছেন ৭টি। বিপরীতে এমবাপ্পে ৭ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল।
0 Comments